শিক্ষা দপ্তর 2019 সালে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের তিনটি শ্রেণীতে বিভাজনের কথা বলে। 1. উচ্চ মাধ্যমিক 2.মাধ্যমিক এবং 3. উচ্চ প্রাথমিক। কারা,কি মাপকাঠির ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও কারা উচ্চ প্রাথমিকে থাকবেন সে সম্বন্ধে স্পষ্ট নির্দেশ ছিল না তাই এ নিয়ে আন্দোলন হয় এবং শেষ পর্যন্ত শিক্ষাদপ্তর পিছু হটে এবং স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয় নর্মাল সেকশন ও উচ্চ মাধ্যমিক। এরমধ্যে দুবছর কেটে গেছে বিভিন্ন নির্দেশিকার মাধ্যমে বারবার এই স্টাফ প্যাটার্ন প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের দিয়ে করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে ।কখনো স্যালারি ফাইনালস করার আগে কখনো অন্যভাবে। সেই একই প্রচেষ্টা আবার শুরু হল ROA অর্থাৎ রেজিস্টার অফ অ্যাপোয়েন্টমেন্ট এর নাম করে। এর মাধ্যমে নরমাল সেকশন এ কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আপার প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি তে বিভাজিত করার চেষ্টা চলছে এবং এর সম্পূর্ণ দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রধান শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষিকার উপর। তাদের নিয়ে হওয়া মিটিংয়ে বলা হচ্ছে তারা যেন শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে এটা নিয়ে আলোচনা না করেন এবং দ্রুত এটা করে পাঠান। নরমাল সেকশনের এই বিভাজন করতে বলা হচ্ছে 2:1 অনুপাত মেনে। অর্থাৎ তিনটে পোস্ট থাকলে দুটো হবে আপার প্রাইমারি একটি হবে সেকেন্ডারি ।এ নির্দেশ সবই কিন্তু মৌখিক। প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা কিসের ভিত্তিতে এই বিভাজন করবেন তার কোনো সুস্পষ্ট লিখিত নির্দেশ দিচ্ছেন না ।অনেক প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা তাই এই মুহূর্তে এ সম্বন্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না কিন্তু অনেকেই আবার নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েই এবং কারো সাথে আলাপ আলোচনা না করেই এই অনুপাত মেনে অনলাইনে এবং অফলাইনে জমা দিয়ে দিয়েছেন বা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানতেও পারছেন না ।কোন লিখিত অর্ডার ছাড়া শুধুমাত্র ডি. আই বা অন্য শিক্ষা আধিকারিকের কথায় রোস্টার অফ অ্যাপোয়েন্টমেন্ট কে ঢাল করে এই শ্রেণীবিভাগ এর ফলে কোন শিক্ষক শিক্ষিকা যে ভবিষ্যতে অসুবিধায় পড়বেন না তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তাছাড়াও পরবর্তীকালে এক্সেস বা ডেফিসিট এর দোহাই দিয়ে যেকোনো সময় কাউকে ট্রানস্ফার করা হতে পারে। পরবর্তীকালে বেতন কমিশনে যে এর প্রভাব পড়বে না তাইবা কে নিশ্চিতভাবে বলতে পারে। আরও সমস্যা তৈরি হতে পারে ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে সে ক্ষেত্রে যদি আপার প্রাইমারি সেকশন এর সাথে সেকেন্ডারি সেকশনের ট্রানস্ফার বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সমস্যার সৃষ্টি হবে। প্রথমে 24.12.21 এ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের যে অর্ডার বেরোয় সেখানে শুধুমাত্র 2018 মার্চের থেকে যে ভ্যাকেন্সি গুলো তৈরি হয়েছিল সেগুলো কেই শ্রেণীবিভাগ করতে বলা হয়। কিন্তু এর কয়েক দিনের মধ্যে যে অর্ডার বেরোলো সেখানে ভ্যাকেন্সি তথ্যগুলোর সাথে সাথে বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য চাওয়া হল এবং সেখানে বুদ্ধিদীপ্ত ভাবে এই লেভেল সংক্রান্ত বিষয়টি কে ঢুকিয়ে দেওয়া হল সেন্ট্রাল রোস্টার এর নাম করে ।তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২২
বিতর্কিত ROA (Register of Appointment)
শিক্ষা দপ্তর 2019 সালে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের তিনটি শ্রেণীতে বিভাজনের কথা বলে। 1. উচ্চ মাধ্যমিক 2.মাধ্যমিক এবং 3. উচ্চ প্রাথমিক। কারা,কি মাপকাঠির ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও কারা উচ্চ প্রাথমিকে থাকবেন সে সম্বন্ধে স্পষ্ট নির্দেশ ছিল না তাই এ নিয়ে আন্দোলন হয় এবং শেষ পর্যন্ত শিক্ষাদপ্তর পিছু হটে এবং স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয় নর্মাল সেকশন ও উচ্চ মাধ্যমিক। এরমধ্যে দুবছর কেটে গেছে বিভিন্ন নির্দেশিকার মাধ্যমে বারবার এই স্টাফ প্যাটার্ন প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের দিয়ে করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে ।কখনো স্যালারি ফাইনালস করার আগে কখনো অন্যভাবে। সেই একই প্রচেষ্টা আবার শুরু হল ROA অর্থাৎ রেজিস্টার অফ অ্যাপোয়েন্টমেন্ট এর নাম করে। এর মাধ্যমে নরমাল সেকশন এ কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আপার প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি তে বিভাজিত করার চেষ্টা চলছে এবং এর সম্পূর্ণ দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রধান শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষিকার উপর। তাদের নিয়ে হওয়া মিটিংয়ে বলা হচ্ছে তারা যেন শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে এটা নিয়ে আলোচনা না করেন এবং দ্রুত এটা করে পাঠান। নরমাল সেকশনের এই বিভাজন করতে বলা হচ্ছে 2:1 অনুপাত মেনে। অর্থাৎ তিনটে পোস্ট থাকলে দুটো হবে আপার প্রাইমারি একটি হবে সেকেন্ডারি ।এ নির্দেশ সবই কিন্তু মৌখিক। প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা কিসের ভিত্তিতে এই বিভাজন করবেন তার কোনো সুস্পষ্ট লিখিত নির্দেশ দিচ্ছেন না ।অনেক প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা তাই এই মুহূর্তে এ সম্বন্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না কিন্তু অনেকেই আবার নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েই এবং কারো সাথে আলাপ আলোচনা না করেই এই অনুপাত মেনে অনলাইনে এবং অফলাইনে জমা দিয়ে দিয়েছেন বা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানতেও পারছেন না ।কোন লিখিত অর্ডার ছাড়া শুধুমাত্র ডি. আই বা অন্য শিক্ষা আধিকারিকের কথায় রোস্টার অফ অ্যাপোয়েন্টমেন্ট কে ঢাল করে এই শ্রেণীবিভাগ এর ফলে কোন শিক্ষক শিক্ষিকা যে ভবিষ্যতে অসুবিধায় পড়বেন না তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তাছাড়াও পরবর্তীকালে এক্সেস বা ডেফিসিট এর দোহাই দিয়ে যেকোনো সময় কাউকে ট্রানস্ফার করা হতে পারে। পরবর্তীকালে বেতন কমিশনে যে এর প্রভাব পড়বে না তাইবা কে নিশ্চিতভাবে বলতে পারে। আরও সমস্যা তৈরি হতে পারে ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে সে ক্ষেত্রে যদি আপার প্রাইমারি সেকশন এর সাথে সেকেন্ডারি সেকশনের ট্রানস্ফার বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সমস্যার সৃষ্টি হবে। প্রথমে 24.12.21 এ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের যে অর্ডার বেরোয় সেখানে শুধুমাত্র 2018 মার্চের থেকে যে ভ্যাকেন্সি গুলো তৈরি হয়েছিল সেগুলো কেই শ্রেণীবিভাগ করতে বলা হয়। কিন্তু এর কয়েক দিনের মধ্যে যে অর্ডার বেরোলো সেখানে ভ্যাকেন্সি তথ্যগুলোর সাথে সাথে বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য চাওয়া হল এবং সেখানে বুদ্ধিদীপ্ত ভাবে এই লেভেল সংক্রান্ত বিষয়টি কে ঢুকিয়ে দেওয়া হল সেন্ট্রাল রোস্টার এর নাম করে ।তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
SWAMI VIVEKANANDA MEANS CUM MERIT SCHOLARSHIP
Swami Vivekananda means cum merit scholarship SVMCM With a view to assisting the meritorious students belonging to economically backward fa...
-
Swami Vivekananda means cum merit scholarship SVMCM With a view to assisting the meritorious students belonging to economically backward fa...
-
: করোনাকালে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ জায়গাতেই পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে "৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে পাড়ায় ...
-
বদলি শুরু একক বিষয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কোনো স্কুলে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের যদি একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা থাকেন ,সেক্ষেত্রে তার বদলির আবেদন প্...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন